ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বাদপড়া ভোটারদের মাঝে ফের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের উদ্যোগ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  পাঁচমাস আগে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা এলাকার ভোটারদের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে অক্টোবর মাসে। বিতরণ কর্মসুচির আওতায় ওইসময় নির্বাচন কমিশন চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪১১ জন নারী-পুরুষ ভোটারের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নেন।

কিন্তু চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কমিশনের নিদের্শনার আলোকে নির্ধারিত তারিখ সংশ্লিষ্ট এলাকার কেন্দ্রসমুহে উপস্থিত না থাকার কারনে এবং মাঝখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় বিপুল পরিমাণ ভোটার স্মার্টকার্ড গ্রহন করতে পারেনি। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে উধ্বর্তন প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাদপড়া সেসব ভোটারদের মাঝে পুনরায় স্মার্টকার্ড বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা এলাকার ভোটারদের মাঝে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট থেকে শুরু জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম। ওইসময় নির্বাচন কমিশন চকরিয়া উপজেলার ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪১১ জন নারী-পুরুষ ভোটারের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নেন। অক্টোবর মাসে বিতরণ কার্যক্রম সমাপ্ত হলেও নানা কারনে এলাকার বাইরে থাকা কিংবা নির্ধারিত তারিখে সংশ্লিষ্ট এলাকার কেন্দ্রসমুহে উপস্থিত না থাকার কারনে অনেকে স্মার্ট কার্ড পায়নি। তাই আমরা বাদপড়া ভোটারের মাঝে পুনরায় স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, ১৪ জানুয়ারী থেকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করা হয়েছে। এই কার্যক্রম চলবে অফিস সময়ে আগামী ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে বাদপড়া ভোটারকে দুই হাতের দশ আঙ্গুলের ছাপ ও দুই চোখের আইরিশ ইমেজ প্রদান করতে হবে। স্মার্ট কার্ড গ্রহনের সময় পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। যারা অদ্যবদি জাতীয় পরিচয়পত্র পাইনি তাদেরকে নিবন্ধন স্লিপ আনতে হবে। একজনের কার্ড অন্যজনকে দেওয়া হবেনা।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালায় বলা হয়েছে, পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে স্মার্ট কার্ড গ্রহনের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সোনালী ব্যাংকে ৩৬৮ টাকা (১৪২২৩০২ নম্বর কোর্ডে) জমা দিয়ে স্লিপ সঙ্গে আনতে হবে। যারা নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা ফরম নম্বর, ভোটার নম্বর ও আইডি নম্বর সংগ্রহ করে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করতে পারবেন। ##

পাঠকের মতামত: